দেশের বাহির থেকে আমদানি করলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল হক। আজ বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ইআরএফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘পোল্ট্রি শিল্পে সংকট, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা ও ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ হ্রাসে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ ক হুঁশিয়ারি দেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠানে বিএবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমদানি করে ডিমের দাম কমাতে চাইলে উল্টো আরো দাম বাড়বে। তখন ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে।
এদিকে হঠাৎ করে ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পেছনে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে দাবি করেন বিএবি নেতারা। তারা বলেন, মুরগির ফিডের দাম না কমালে ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব না। এজন্য ফিডের আমদানি মূল্য কমানোর দাবি জানাই। ‘সিন্ডিকেটের খপ্পরে ডিম-মুরগির বাজার’- বক্তব্যটিকে অপপ্রচার বলে দাবি করেন বিএবি’র সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, লেয়ার মুরগির চাহিদা ১১ লাখ থেকে কমে হয়েছে সাড়ে ৯ লাখ। ডিম-মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট! এমন অপপ্রচার ছড়ানোর কারণে বিভ্রান্তি দিন দিন আরও ঘনীভূত হয়েছে। তাছাড়া ‘প্রান্তিক খামারি’ বনাম ‘করপোরেট খামারি’র বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমেও দেশীয় খামারি ও উদ্যোক্তাদের অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপচেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে ডিম-মুরগি আমদানি করা হলে তা দেশেরই ক্ষতি করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদিন বয়সী ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার সাপ্তাহিক চাহিদা ছিল প্রায় ১ কোটি ৭০-৮০ লাখ, বর্তমানে তা ১ কোটি ৩০ লাখে নেমে এসেছে।